ক্রিকেটের হিসাব প্যারডি কবিতা কবি সুকুমার রায়ের বিখ্যাত কবিতা ‘জীবনের হিসাব’।কবিতারই ক্রিকেট সংস্করন লিখেছেন হামিদুর রহমান স্বরূপ
ক্রিকেটের হিসাব
রেকর্ড বোঝাই কালাম মশাই প্রেডিকশনের চোটে
সাকিবকে কন, “বলতে পারিস বোলার কখন ছোটে?
বলের গতি কেন বাড়ে? স্লোয়ার কেন আসে?”
ভদ্র সাকিব অবাক হয়ে ফ্যালফেলিয়ে হাসে।
কালাম বলেন, “সারা জীবন খেললি কবে খাঁটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি।”
খানিক বাদে কহেন কালাম, “বলত দেখি ভেবে,
জিতলে টসে কখন ব্যাটিং, কখন বোলিং নিবে?
বলত কেন খেলা কঠিন জমলে মাঠে পানি”
সাকিব কয়, “আরে মশাই, অত কি আর জানি ?”
বাবু বলেন, “এত খেলেও জানিসনেও তাকি ?
খেলাটা তোর কিইবা ভালো, অষ্ট আনাই ফাঁকি ।”
আবার ভেবে কহেন বাবু, “বলত ওরে ছোড়া,
কেন এখন ক্রিকেট খেলা ছক্কা-চারে ভরা?
বলত দেখি বোথাম, ক্যালিস লেজেন্ড হলেন কেন?”
সাকিব বলে, “আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন?”
কালাম বলেন, “বলব কি আর, বলব তোরে কি তা,-
দেখছি এখন খেলাটা তোর বারো আনাই বৃথা।”
বিশ্বকাপে ঝড় উঠেছে, টাইগারদের দলে,
কালাম ভাবেন, প্রেডিকশনও গেলো এবার জলে।
সাকিবকে কন, “একি আপদ! ওরেও ভাই প্লেয়ার,
আজ বৃষ্টি হবে নাকি? হবে পয়েন্ট শেয়ার?
সাকিব শুধায়, “খেলা দেখো?” মাথা নাড়েন বাবু,
সাকিব বলে, “কালাম মশাই, এখন কেমন কাবু?
সিরিজ শেষে আমার খেলা হিসেব করো পিছে,
তোমার প্রেডিকশনখানা ষোল আনাই মিছে ।”
(সুকুমার রায়ের ‘জীবনের হিসাব’ কবিতা অবলম্বনে)
কৃতজ্ঞতা স্বীকার ইয়ার্কি
আমাদের গ্রাম প্যারডি কবিতা
আমাদের ছোট গায়ে বড় বড় ঘর
থাকি সেথা হয়ে সবে একে অন্যের পর
পাড়ার সকল ছেলে রাজনীতির ছলে
হাতে পিস্তল লই ক্ষমতার বলে।
আমাদের ছোট গ্রাম শহর সমান
ধুলোবালু বাতাসে ওষ্টাগত প্রাণ
মাটগুলো নেই আর দালান পর দিঘির
চাঁদের কিরন আজ হয়েছে তিমির।
আমাদের ছোট নদী শেষ হয়েছে কবে
বইয়ের পাতায় শুধু সেই স্মৃতি রবে
খাল-বিল,নদ-নদী এখন আর নাই
গরু মহিষ দেখিতে চিড়িয়ায় যাই।
চোর ডাকাত মাস্তান পুলিশ যেন
এমপি মন্ত্রী সব আত্বীয় হেন
সকালে পত্রিকাওয়ালার হাকডাক ছুটে
নব নব আশংকায় ঘুমটা টুটে।
(কবি বন্দে আলী মিয়ার “আমাদের গ্রাম” কবিতার প্যারডি। কবি বেচে থাকলে আজ হয়তো এভাবেই লিখতেন।)
সোনার গাড়ি প্যারডি কবিতা
গগনে গনগনে মেঘ, রৌদ্রে ফরসা।
বাসস্টপেজে দাঁড়িয়ে ঘামছি, নাহি ভরসা।
ভাংতি ভাংতি টাকা দ্বারা টিকিট কাটা হলো সারা,
রাস্তা জ্যামে ক্ষুরধারা খরপরশা-
কাটিতে কাটিতে সময় বাস আসে না সহসা।
একখানি ছোট কাউন্টার আমি একেলা-
চারিদিকে যানবহন করিছে খেলা।
দূর সিগন্যালে দেখি আকা লাল বাতি মাখা
রাস্তাখানি ধূলোয় ঢাকা অফিসবেলা।
এ স্টপেজে ছোট কাউন্টার আমি একেলা।
হর্ন্ বাজিয়ে বাস চালিয়ে ড্রাইভার আসে দেরী করে!
রেগে যেন মনে হয় চড়াই উহারে।
ফুলস্পীডে চলে যায়, কোন দিকে নাহি চায়,
যাত্রীগুলি নিরুপায়,গাদাগাদি হয়ে ভেতরে-
রেগে যেন মনে হয় চড়াই উহারে।
ঐ কন্ডাক্টার কই যাস কোন বিদেশে?
বারেক ভিড়া গাড়ি স্টপেজে এসে।
যাবি যেথা যাইতে চাস, চাপা দিবি যারে পাস-
শুধু তুই ছিড়ে নে ক্ষনিক হেসে
আমার সোনার টিকিট কাউন্টারেতে এসে।
যত চাবি তত যাত্রী ঠাসাবি বাসভরে।
জায়গা আছে?- জায়গা নাই, ওঠা ছাদের উপরে।
এতকাল বাস কাউন্টারে সিটের স্বপ্ন নিয়ে ছিনু ভুলে
সেই স্বপ্ন দিলাম তুলে থরে বিথরে-
এখন আমারে ল করুনা করে।
ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে গাড়ি
আগের স্টপেজের প্যাসেঞ্জারে গিয়াছে ভরি।
দ্বিগুন ভাড়া বৃদ্ধি করে কত সিএনজি ঘুরে ফিরে,
শূণ্য বাস কাউন্টারে রহিনু পড়ি-
যাত্রী যা ছিলো নিয়ে গেলো সোনার গাড়ি।
তোমার চোখ এত লাল কেন? প্যারডি কবিতা
দোস্ত কিছু পারতসি তো? প্যারডি কবিতা
আমি বলছি না পরীক্ষায় সাহায্য করতেই হবে,
আমি শুধু চাই কেউ একজন আমার দূরাবস্থা বুঝুক।
তার খাতা দেখে লেখার সুযোগ করে দেবার জন্য,
নিজে নিজে উঁকি দিতে গিয়ে আমি ক্লান্ত।
আমি বলছি না পরীক্ষায় সাহায্য করতেই হবে।
আমি চাই কেউ আমাকে উত্তর সম্পর্কে টিপস দিক।
আমি খাতা নিয়ে কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই গার্লফ্রেন্ডের যুগ বন্ধুকে মুক্তি দিয়েছে বন্ধুসেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক,
আমার কলম লাগবে কিনা, স্কেল লাগবে কিনা,
পেনসিল কম্পাসের সাথে একটা ব্যবহার যোগ্য ইরেজার লাগবে কিনা।
মারজিন দিতে, নাম রোল লিখতে আমি নিজেই পারি।
আমি বলছি না পরীক্ষায় সাহায্য করতেই হবে,
কেউ একজন আমার দৃষ্টিসীমার মাঝে তার খাতাটা রাখুক।
কেউ আমাকে লিখতে বলুক।
পৃষ্ঠা আদান প্রদানের সঙ্গী না হোক,
কেউ অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করুক,”দোস্ত, কিছু পারতেছিস তো?
শেষকথাঃ এই ওয়েবসাইটের সকল প্যারডি কবিতা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা। আমাদের উদ্দেশ্য ইতিহাস বা সাহিত্য বিকৃত করা নয়। সুতরাং কোনো Admin বা কারো কোনো মন্তব্য থাকলে আমাদের সাথে সাথে ইমেইল এর মাধ্যমে জানান। আমরা তাত্ক্ষণিকভাবে নিদৃষ্ট পোস্টটি ডিলেইড করে দেব। ধন্যবাদ